রাঙামাটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়

বাংলাদেশ মেইল ::

সাপ্তাহিক ছুটি ও বড়দিন মিলে টানা তিন দিনের ছুটিতে রাঙামাটির পর্যটন স্পট গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। রাঙামাটির প্রাকৃতিক নৈসর্গে ঘেরা হ্রদ-পাহাড়ের মিতালীতে শহরের যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দুর করতে রাঙামাটি শহরের বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়।

গতকাল শুক্রবার শনিবার রোববার রাঙামাটির হোটেল মোটে গুলো কোথাও কোন রুম খালী নেই। রুম না পেয়ে এক রুমে দাগাগাদি করে থাকতে হচ্ছে পর্যটকদের।অনেকেই রাঙামাটির সবিভিন্ন স্কুলে ও বাসে অবস্থান নিতে দেখা গছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও বড়দিন মিলে টানা তিন দিনের ছুটিতে রাঙামাটির পর্যটন স্পট গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে।

রাঙামাটির প্রাকৃতিক নৈসর্গে ঘেরা হ্রদ-পাহাড়ের মিতালীতে শহরের যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দুর করতে রাঙামাটি শহরের বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। আগামীকালও রাঙামাটির পর্যটন স্পট গুলোতে মানুষের ভীড় থাকবে। এদিকে, রাঙামাটির মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালিতেও কানায় কানায় পর্যটকে পরিপুর্ণ।

এবার সাপ্তাহিক ছুটির সাথে বড় দিনের ছুটি যুক্ত হওয়ায় টানা তিন দিনের বন্ধে ইতোমধ্যে মেঘের রাজ্য সাজেকের ছোট-বড় সব কটেজ শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে।অতিরিক্ত পর্যঠকদের জন্য তাবু খাটিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শুরুতে কিছুটা কম পর্যটক আসলেও আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভালো বুকিং রয়েছে।

পর্যটক আসায় খুশি ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে,রাঙামাটির আগত পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত ছিলো রাঙামাটির সকল মহল। হোটেল মোটেল, টুরিষ্ট বোট,টেক্সটাইল ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

রাঙামাটি হৃদ পাহাড়ের মিতালী দেখে পর্যটকরা খুবই খুশী। রাঙামাটিতে শীতের শুরু থেকে কিছু কিছু পর্যটক আসলেও ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষার পর থেকে ও টানা তিন দিনের বন্ধে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটে।

পর্যটন নৌ ঘাট থেকে বোটে করে বিভিন্ন এলাকা ঘুরতে যাচ্ছে। রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা পর্যটন মো.আলম হাকিম বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর রাঙামাটি।

আমাদের দেশের মানুষ কেন বিদেশে যায় জানি না। বিদেশে গিয়ে যে টাকা খরচ করে তার চেয়ে অনেক কম টাকা খরচে রাঙামাটিতে ভ্রমন করলে আনন্দ আরো বেশী পাওয়ায়।

আমি আজ থেকে ৬ বছর আগেও দেশের বাইরে যেতাম ঘুরতে। এখন আর যায় না। পর্যটক রাবিকা বেগম বলেন,‘রাঙামাটিতে অনেক দেখার মতো সৌন্দর্য্য আছে। যা আমাদের দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হবে।

এখানে যে সকল পর্যটন স্পট গুলো রয়েছে তা যদি আরো একটু সাজানো যায় তাহলে কোন পর্যটক বাইরে যাবে না। সকলেই রাঙামাটিতেই বেড়াতে আসবে।

তিনি বলেণ গতকাল রাতে সাজেক ছিলাম আজ রাঙামাটিতে ঘুরছি মনে হচ্ছে আমি সর্গে আছি।’ রাঙামাটি বোট ইজারাদার মো.রজমান আলী বলেন, তিন দিনের টানা ছুটিতে পর্যটক প্রচুর এসেছে। আশা করছি আগামী দিন গুলোতেও আরো ভালো পর্যটক রাঙামাটিতে আসবে। তিনি বলেন, বোট ভাড়া খুবই সীমিত আকারে রাখা হচ্ছে।

সরকারের বেধে দেয়া নিয়মেই আমরা পর্যটকদের সেবা দিচ্ছি। রাঙামাটি হোটেল স্কয়ার পার্কের ম্যানেজার জানান মো. রায়হান বলেন,রাঙামাটির হোটেল গুলোতে পর্যটকের আগমন ভালো হয়েছে।

আমাদের হোটেলসহ অন্যান্য হোটল গুলোতে শতভাগ বুকিং রয়েছে। আশা করছি আগামীতেও আমাদের রাঙামাটিতে আরো বেশী
পর্যটকের আগমন ঘটবে। রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বড়ুয়া বলেন,শুক্রবার থেকে রাঙামাটিতে প্রচুর পর্যটক আসে ঝুলন্ত সেতু এলাকায়।

গত দুই দিন থেকে আমাদের আবাসিক রুমে প্রায় ৯০ ভাগ বুকিং রয়েছে। এখনো আমাদের কাছে ফোন আসছে রুমের জন্য। তিনি বলেন, শুধু পর্যটন কমপ্লেক্স নয় রাঙামাটির সব কয়টি হোটেল মোটেল পরিপুর্ণ।কোথাও কোন রুম খালী নেই। তিনি আরো বলেন, গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যায় পর্যনন্ত প্রায় ৩ হাজার মানুষ ঝুলন্ত সেতু এলাকায় প্রবেশ করেছে।’

আজো সম পরিমান পর্যটক রয়েছে পর্যটনে। প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে ঘেরা রাঙামাটি জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে আরো নতুন নতুন পর্যটন স্পট গড়ে উঠবে এবং পর্যটকদের ভ্রমনে আরো বেশী নিরাপদ ও আকর্ষনীয় করা গেলে তিন পার্বত্য জেলায় হবে দেশের একমাত্র পর্যটনের কেন্দ্র স্থল বলে মনে করেন ঘুরতে আসা পর্যটকরা।