নালায় নিখোঁজ
মরদেহ মিলেছে সতের ঘন্টা পর

নাদিরা শিমু ::

চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার রঙ্গিপাড়ায় নালায় পড়ে নিখোঁজ শিশু ইয়াসিন আরাফাতের মরদেহ মিলেছে।সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মচারীরা রঙ্গীপাড়া এলাকার নালা থেকে লাশ উদ্ধার করে।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে ওই শিশু বাসার কাছে কেএম হাশিম টাওয়ার এলাকায় নালায় পড়ে তলিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা। তবে রাত ভর অভিযান চালিয়েও শিশুটি উদ্ধার করা সম্ভব হয় নি।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতভর বৃষ্টিতে সড়ক-নালা পানিতে একাকার হয়ে যায়। উন্মুক্ত এ নালায় শিশুটি পড়ে গেলে স্রোতে তলিয়ে যায়। বিকেল থেকে খুঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায় নি।

২০২১ সালের ২৫ আগস্ট প্রবল বর্ষণে পানিবন্দি নগরীর মুরাদপুরে নালায় পড়ে তলিয়ে যান সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ। দুই বছরেও তার খোঁজ মেলেনি। একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কে জেক্স মার্কেটের সামনে নালায় পড়ে নিখোঁজ হন সেহেরীন মাহবুব সাদিয়া (১৯) নামে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক ছাত্রী। ৪ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার হয়। এভাবে বছরের পর বছর ময়লার ভাগাড়ে রুপান্তরিত হওয়া এসব নালা পরিস্কার করার কার্যকর কোনে উদ্দ্যেগ নেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের।

প্রসঙ্গত,  চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন  কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালে নগরীর ড্রেন, খাল ও ফুটপাথের ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোর ওপর একটি জরিপ চালায়। জরিপের পর মোট ৫ হাজার ৫২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ স্পট চিহ্নিত করা হয়। এগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ছিল ১৯ কিলোমিটার। এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্পটে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনে বক্তব্য নেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিমের।