সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানোর অভিযোগ
নোকার প্রার্থী মোস্তাফিজের মনোনয়ন বাতিলের পর আ. লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর

বাংলাদেশ মেইল ::

নৌকার প্রার্থী মুস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর উপর হামলার তিন ঘন্টার মধ্যে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ডুকে ভাংচুর করেছে বিজয়ী প্রার্থী মুজিবুর রহমান সিআইপির অনুসারীরা। এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি জ্বালিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা।

সোমবার বিকেলে এক সংবাদ  সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ ভোটের মাঠ একটি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী অশান্ত করেছে। দলীয় প্রার্থীর উপরে হামলা, তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের দুঃখজনক নিরবতা আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের কস্ট দিয়েছে।

বিএনপি-জামাত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দলের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  ছবি জ্বালিয়ে দেবার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  অধ্যাপক আব্দুল গফুর অভিযোগ করেন, ‘ থানার পঞ্চাশ গজের মধ্যে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এমন নগ্ন  হামলার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের নীরবতা দলের নেতাকর্মীদের আতঙ্কগ্রস্ত করেছে।  নৌকার সমর্থকদের বাসা বাড়িতে গিয়ে পুলিশ হুমকি ধামকি করছে। নির্বাচনের  ফলাফল ঘোষণার আগেই দলের আওয়ামী লীগের  কার্যালয়ে হামলার ঘটনা স্পষ্ট করেছে বাঁশখালী ভবিষ্যতে  কাদের হাতে নিয়ন্ত্রিত হবে।  ‘

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা,  বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজেমী, উপজেলা  যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী রওকাতুন নুর প্রিয়তাসহ অন্যান্যরা ।