চট্টগ্রাম মেইল : রমজানে পঁচা, বাসি ও ভেজাল খাবার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চট্টগ্রাম নগর জুড়ে তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়।
নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত নগরীর চকবাজার, খুলশি ও বায়েজিদ থানায় পৃথকভাবে ৪টি তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটগণ। এসব অভিযানে বাসি মাংস, কৃত্রিম রং মিশ্রিত মাছ ও পচা দইয়ের অস্থিত্ব খুঁজে পাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। তাছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মেয়াদ বিহীন কাটা ওষুধ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
১৮টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ৭ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় চুয়ান্ন হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এসব তদারকিমূলক অভিযানে। পৃথক চারটি অভিযানের নের্তৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উপ পরিচালক প্রিয়াংকা দত্ত, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
অভিযানের বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, রমজান মসে খাদ্যে ভেজাল ও পঁচা বাসি খাবার বিক্রির অসাধু ব্যবসায়িদের চিহ্নিত করতে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে অধিদপ্তর। আজকের তদারকিমূলক অভিযানেও পঁচা বাসি গরুর মাংস বিক্রি, পঁচা দই ও মাছে কৃত্রিম রং মিশিয়ে বিক্রির জন্য রাখা কয়েকজন মুনাফালোভী ব্যবসায়িকে চিহ্নিত করে জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে চকবাজার থানার কাঁচা বাজারে পরিচালিত অভিযানে মূল্যতালিকা না টাঙ্গানোর অপরাধে নাজির সওদাগরের মুরগীর দোকানকে এক হাজার টাকা, বিক্রির জন্য বাসি গরুর মাংস সংরক্ষণ রাখায় সেকান্দারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পচা-ছাতাপড়া দই বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় সততা দই ভান্ডারকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করে ২০০ ভাড় বর্ণিত দই ধ্বংস করা হয়। কৃত্রিম রং মিশিয়ে মাছ বিক্রয় করায় চকবাজারের মাছ ব্যবসায়ি হারাধন দাশকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রায় ২০ কিলোগ্রাম রং মিশ্রিত মাছ ধ্বংস করা হয়।
নগরীর বায়েজিদ থানাধীন রৌফাবাদ এলাকার তদারকিমূলক অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ফুড কালার ব্যবহার করে কেক তৈরির অপরাধে গোল্ডেন বেকারিকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করে মেয়াদ উত্তীর্ণ ফুডকালার ধ্বংস করা হয়। এছাড়া খুলশীর ঝাউতলা বাজারের গরুর মাংস ব্যবসায়িকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে এ ব্যবসায়িকে জরিমানা দিতে হয়। তাছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় একই এলাকার নাসির ফার্মেসীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট।
বিএম/রনী/রাজীব