সরকারি নির্দেশনার এক মাস অতিবাহিত হলেও ঠাকুরগাঁওয়ে গম সংগ্রহের কাজ শুরু হয়নি। ফলে এবারের ক্রয় কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এতে ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হতে পারে কৃষকরা ।ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে , এ মৌসুমে জেলার পাঁচটি উপজলোয় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৬ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা র্নিধারন করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঠাকুরগাঁও সহ সারা দেশ গত ১ এপ্রিল থেকে শুরু করে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সরাসরি কৃষকের কাছে গম কেনার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁওয়ে এখনও শুরুই হয়নি ক্রয় কর্মসুচি ।
ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন জানান , উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট উপজেলা খাদ্য শস্য কমিটির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা ভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকেই গম ক্রয়ের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে ।
তিনি জানান প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে সর্বনিম্ম
দেড়’শ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ৩ মেট্রিক টন গম ক্রয় করা হবে। তালিকা না পাওয়ায় গম সংগ্রহ কর্মসুচি শুরু করা হয়নি।
তবে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, কৃষি বিভাগের তালিকা পাওয়ার পর লটারি হবে এবং গম সংগ্রহ শুরু হবে ।
তিনি জানান , শুরুটা দেরিতে হলেও নিদিষ্ট সময়ে গম সংগ্রহ অভিযান সম্পন্ন হবে ।
এ দিকে গম সংগ্রহ সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে শুরু না করায় ক্ষোভ প্রকাশ
করছেন চাষীরা ।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউপির স্কুল হাট গ্রামের গমচাষী মমিনুল ইসলাম আক্ষেপ করে বলেন, বেশিরভাগ কৃষকের ঘরেই
গম নেই। গম উঠার পর অনেকে বাজারে বিক্রি করেছে । কিছু বিত্তশালী কৃষকের কাছে গম মজুদ থাকতে পারে ।
ঠাকুরগাঁও গম গবেষনা কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা কৃষকদের অভিযোগের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর ধান্দাবাজীর কারণে চাষীরা এর সুফল পাচ্ছে না এবারে সরকারি ভাবে গমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিকেজি ২৮ টাকা । বাজার মূল্য থেকে সরকারি দর বেশী হওয়ায় অনেকে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে (এলএসডি) গম বিক্রি করতে আগ্রহী ।
উল্লেখ্য, এ বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫০ হাজার ২শ ২০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে । আর এই পরিমান জমি থেকে ২ লাখ ৮৯ মেট্রিক টন গম
উৎপাদন হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট দফতরের উপপরিচালক মো. আফতাব হোসেন । এ মৌসুমে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬৭ হাজার ৬শ ৭৫ হেক্টরে ।
বিএম/গৌতম/রনী