চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রামের চাকতাই খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প- বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খালের বহদ্দারহাট অংশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। পরবর্তীতে মাছুয়াঝর্না এলাকায় গিয়ে এ অভিযানের প্রাথমিক সমাপ্তি হবে।
সিডিএ-এর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিমাপ চলছে, জরিপ চলছে মাকিং করা হয়েছে। চাকতাই খালটির দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮৮১ কিলোমিটার। খালটির ওপর বহদ্দার হাট থেকে মাছুয়াঝর্না পর্যন্ত অংশে ১৩২ টি অবৈধ স্থাপনা আমাদের তালিকায় আছে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো অবৈধ স্থাপনা নিজেরাই উচ্ছেদ করে নিয়েছে। অনেকগুলো এখনো রয়ে গেছে, সেগুলো সব উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন আমরা ইতিমধ্যে প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম এগিয়ে নিয়েছি। বাকি ২.৮ কিলোমিটার জুড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলবে। পর্যায়ক্রমে নগরের খালের ওপর গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে রাজখালী খাল-২ ও নোয়াখালে উচ্ছেদ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।
ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।
বিএম/রাজীব..