চট্টগ্রাম মেইল : চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড মোড়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়েছে বিআরটিএ। আজ বিকালে পরিচালিত অভিযানের নেতৃত্ব দেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক।
এর আগে এ রুটের বিভিন্ন যাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ ছিলো, প্রতিদিন বিকাল হলেই ১০ নং রুট ও ১১ নং রুটের বাসগুলো শেষ গন্তব্যে না গিয়ে মাঝপথ ইপিজেড মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া গার্মেন্টসের রিজার্ভ ভাড়া নেওয়া, যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া, ওইসময়ে উঠানামা ২০ টাকা দাবি করা।
আজ বুধবার বিকালে অভিযানে গিয়ে অভিযোগগুলো সত্যতা পেয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট। এসব অভিযোগে ১০ নং ও ১১ নং রুটের ৬টি বাসকে ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সত্যতা নিশ্চিত করে বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক বলেন, অভিযান চলমান থাকবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ক্ষোভের সাথে বলেন, প্রতিদিন বিকাল হলেই ইপিজেড এলাকায় একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কর্মস্থল ফেরত মানুষ সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে নিপতিত হয়। এ চিত্র বেদনাদায়ক। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অসভ্যতার মাত্রা এতোটাই যে, কোন আইন-কানুনকেই এরা তোয়াক্কা করছে না।
এ বিষয়ে মালিকপক্ষের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা চালকদের কখনো বলি না গাড়ি মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দিতে, অতিরিক্ত ভাড়া নিতে। চালকরা জানিয়েছে সব চালকরা এরকম নয় তবে কেউ কেউ এটা করছে।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবারও একই অভিযোগে নগরীর অক্সিজেন ও বহদ্দারহাট মোড়ে অভিযান চালিয়ে ৩ নং ও ১০ নং রুটের ৯ বাসকে ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, মনজুরুল হক।
বিএম/আরএস..