বাংলাদেশ মেইল, ডেস্ক :
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সাধারণ জনতার বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকা।
ভোলায় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম প্রকাশ হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। হেফাজতের দুর্গ বলে খ্যাত চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আসরের পর থেকে থেমে থেমে মিছিল, সমাবেশ করেছে হেফাজত কর্মিরা।
রবিবার (২১ অক্টোবর) আসরের নামাজের পর চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের হাটহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে সংঘবদ্ধভাবে বিক্ষোভ করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। বিকালে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা মডেল থানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় ৩ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা যায়।বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রায় ৩টি সড়ক অবরোধ করে হেফাজত কর্মিরা। শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে হাটহাজারী মাদ্রাসার সম্মুখে, হাটহাজারী বাজার, মেডিকেল গেট, ভূমি অফিসের সামনে, কলেজ গেট ও বাসস্টেশন এলাকার মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
এ সময় বাসস্টেশন চত্বরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের মাগরিবের নামাজ আদায় ও অগ্নিসংযোগ করতে দেখা গেছে। হঠাৎ ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় পৌঁছায় প্রায় ৩০টি রুটের হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়ে।
শিক্ষার্থীদের দাবি পুলিশের টিয়ার সেলে তিনজন ছাত্র আহত হয়েছে। এরপর বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা হাটহাজারী মডেল থানায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে মূল ফটক ও কাচের দরজা এবং জানালার কাচ ভাংচুর করে।
পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো টিয়ার শেল ছুড়া হয়নি এমনটা দাবি করে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান, বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তাদের ইচ্ছা মতো থানার মূল ফটক ও কাচের দরজা এবং জানালার কাচ ভাংচুর করেছে।
অন্যদিকে রাত ৯ টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যার এস এম রাশেদুল আলমের নেতৃত্বে থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তারা মাদ্রাসায় যায়। এ ঘটনা সমাধান করতে তারা মাদ্রাসার পরিচালক হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ।
এদিকে, বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেফাজত কর্মিদের রোষানলে পড়ে আহত হয়েছে ডিবিসি নিউজের প্রতিবেদক শহিদুল সমুন ও ক্যামেরম্যান পারভেজ।