বাংলাদেশ মেইল ::
নগরীর বিভিন্ন প্রবেশ পথে পুলিশের তল্লাশি চৌকি পার হয়েছে ডুকছে হাজার হাজার মানুষ। করোনা সংক্রমণের উর্ধগতির জন্য নগরীর প্রবেশপথগুলো দেখা হচ্ছে করোনার আতুরঘর হিসেবে৷
করোনা সংক্রমনের উদ্ধগতি ঠেকাতে নগরজুড়ে সেনাবাহিনীর তল্লাসি চৌকি,পুলিশি টহল, ট্রাফিক পুলিশের চেকপোষ্ট রয়েছে। এত আয়োজনের পর করোনার আতুরঘর যেন নগরীর ৪ টি প্রবেশদ্বার।
সরেজমিনে দেখা যায়,নগরীর সিটি গেইট,অক্সিজেন মোড়,কাপ্তাই রাস্তার মাথা, ও নতুন ব্রীজ এলাকার প্রবেশদ্বারে রয়েছে সেনাবাহীনির নিচ্ছিদ্র তল্লাশিচৌকি। কিন্তু এই সব তল্লাশিকে রীতিমত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নানা অজুহাতে সাধারন মানুষ পার হচ্ছে চেকপোষ্ট। আর কোনভাবে চেকপোষ্ট পার হতে পারলে দুরপাল্লা ও আন্তনগর যাত্রার জন্য মিলছে হরেক রকমের পরিবহন। তার মধ্য মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী পরিবহন,প্রাইভেট কার মাইক্রো ও রোগী বহনকারী ল্যাম্বুলেন্স।
তবে ৪ টি প্রবেশদ্বারের মুখে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও যেন দেখেও দেখছে না। অভিযোগ রয়েছে,কিছু অসাধু ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের যোগসাজসে ও অনৈতিক লেনদেনের বিনিময়ে সরকারী নির্দেশনাকে অমান্য করছে পরিবহন চালকরা।
সরেজমিনে নগরীর দুরপাল্লার প্রবেশদ্বার সিটি গেইটে চোখে পড়ে এমন দৃশ্য । মূল গেইটের আগেই রয়েছে সেনাবাহিনীর চেকপোষ্ট। তার সাথে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
গত সোমবার বিকেলে দেখা যায় প্রবেশদ্বারে কয়েকটি গাড়ি ধরে কাগজ পত্র দেখায় ব্যস্ত সার্জেন্ট হানিফ। তবে তার একটু সামনেই সিটি গেইট পার হলেই দেখা যায় যাত্রী বহনের মহোৎসবে মেতেছে ট্রাক ,প্রাইভেট কার, মাইক্রো মোটরসাইকেল ও এ্যাম্বুলেন্স চালকরা।
যাত্রী পরিবহনের বিষয় নিয়ে কথা হয় মাইক্রো চালক আলমগীরের সাথে। তিনি বলেন,আমার এই গাড়িটি বোঝাই করতে ট্রাফিক পুলিশকে দিতে হয়েছে ৩০০ টাকা। শুধু তাই নয়,এই এলাকায় প্রত্যকটি গাড়িতে যাত্রী বোঝাই করতে নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। এই কাজে সহযোগিতা করছে পুলিশের দালাল চক্র।
অন্যদিকে অক্সিজেন মোড় কাপ্তাই রাস্তার মাথা ও নতুন ব্রীজ এলাকায় এলাকায়ও দেখা যায় এমন চিত্র। অনেকটা ট্রাফিক সদস্যদের সামনেই প্রকাশ্য যাত্রী বোঝাই করছে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি।
এদিকে, সিটি গেইট এলাকার পথচারী কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ সিটি গেইটের চেকপোষ্টেই দায় সারছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। প্রবেশমুখেই যত নাটকীয়তা। কিন্তু সিটি গেইট পার হলেই যাত্রী বোঝাইয়ের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে পরিবহন গুলো। এসব প্রবেশপথই করোনার আতুরঘর। ‘
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক শ্যামল কুমার নাথ বলেন,নগরীর ৪ টি প্রবেশদ্বার ও ১৬ টি চেকপয়েন্টে ছাড়াও নগরীর অভ্যন্তরে কোন গনপরিবহন চলছে না। আর চললেও সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে নগরীর প্রবেশদ্বারের বাইরে যদি কোন চালক যাত্রী নেয় তাহলে তা দেখার জন্য রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। আমাদের চেকপোষ্ট গুলোর দ্বায়িত্ব হলো কোন গাড়ি যাতে যাত্রী বোঝাই করে চেকপোষ্ট পার হতে না পারে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি হলেও নগরীতে প্রবেশ ও বাইরে যেতে সুনিদিষ্ট ও উপযুক্ত কারন দেখিয়ে পার হতে হচ্ছে নিরাপত্তা চৌকি ।
করোনার আতুরঘর/বিএম/রানা