মিরসরাইয়ে ওএমএসের চাল বিক্রি হচ্ছে দোকানে

    ওএমএস

    বাংলাদেশ মেইল ::

    চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খোলা বাজারে সরকার কর্তৃক ন্যায্য মূল্যে বিক্রয়ের জন্য সরবরাহকৃত চাল দোকানে বিক্রি হচ্ছে । স্থানীয়  ওএমএস ডিলার  আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তের ডিলারশীপ বাতিলের সুপারিশ করবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।

    অভিযুক্ত ডিলার আবুল কাশেম  মিরসরাই পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড এলাকার কালামিয়া বাজার এলাকায় ওএসএম এর পণ্য সরবরাহ করেন।

    উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২ আগষ্ট) রাতে ৯০ বস্তা চাউল (সাড়ে চার টন) ও ৪০ বস্তা (দুই টন) আটা সরবরাহ করা হয় ন্যায্য মূল্যে বিতরণের জন্য। অভিযোগ উঠেছে ওই রাতেই ডিলার আবুল কাশেমের ছেলে মেহেদি ৭০ বস্তা (সাতে ৩টন) চাউল ও ১০ বস্তা (৫০০ কেজি) আটা স্থানীয় খুচরা দোকানি ও বিভিন্ন লোকের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে দেয়।

    ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় খুচরা মুদি দোকানদার সবুর আহম্মেদের দোকানে বিভিন্ন চাউলের পাশাপাশি খাদ্য অধিদপ্তরের একটি চাউলের বস্তা রাখা হয়েছে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে।

    ডিলার আবুল কাশেমের ছেলে মেহেদি জানান, এই ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার সংগ্রামের সাথে কথা বলার জন্য। স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার সংগ্রাম উক্ত চাউল সরবরাহ করেছেন বলে জানায় মেহেদি। এব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়ার্ড কমিশনার সংগ্রাম জানান, স্থানীয় ১০জন উপকার ভোগীদেরকে সরবরাহ করা হয়েছিল উক্ত চাউল। কিন্তু এই ব্যাপারে উপকার ভোগীদের তালিকা চাইলে তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

    দোকানদার সবুর আহম্মেদ ৭ জনের একটি তালিকা দেখালোও তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে দোকানদার সবুরের বাড়িতে আরো ৪টি চাউলের বস্তা রয়েছে।

    এদিকে দুপুরে পুনরায় উক্ত ডিলারের দোকানে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় বাজার থেকে নুরজাহান ব্র্যান্ডের ১০টি ক্রয় করে সেখান থেকে চাল সংগ্রহ করে গোপনে সরকারি চাউলের বস্তায় রাখা হচ্ছে। এসময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সহকারী আশরাফ দোকানের শাটার তুলে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। তখন ডিলার কাশেমের ছেলে মেহেদি স্বীকার করেন তার কিছু চাল কম আছে তাই বাজার থেকে নুরজাহান ব্র্যান্ডের চাউল ক্রয় করে তার পূরণ করছে।

    এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শামসুন নাহার স্বর্ণা জানান, তথ্য প্রমাণের প্রেক্ষিতে ওএমএস এর চাল বিক্রয়ের বিষয়টি পরিষ্কার। এমন অপরাধ গ্রহণযোগ্য নয়। তার ডিলারশীপ বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান ও সহকারী কমিশনার ভূমি সুবল চাকমা ঘটনার স্থল পরিদর্শন করে উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ডিলারের অনিয়মের বিষয়টি পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন তদারকি করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।