সেতু হলেও, হয়নি সংযোগ সড়কের কাজ

    বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল-ছনুয়া ইউনিয়নের মৌলভীবাজার সংলগ্ন জলকদর খালের ওপরে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়কের কাজ। এতে সংযোগ সড়কের কাজ না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের। এর আগে এই জলকদর খালের ওপরে থাকা বেইলি ব্রীজটির পাটাতন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকার পর ২০২০ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটি সড়ক থেকে ৫-৬ ফুট উচ্চতায় হওয়ায় যান চলাচল ও মানুষের যাতায়াত বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সম্রতি স্থানীয় মানুষ ও পরিবহন চালকরা নিজেদের সম্মিলিত অর্থে বালুভর্তি বস্তা দিয়ে সেতুতে ওঠার ব্যবস্থা করলেও তাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ভ্যান গাড়িসহ যাবতীয় ছোট যানবাহন গুলো মানুষের সাহয্যে ঠেলে সড়ক থেকে সেতুতে তুলতে হয়। তাছাড়া বৃষ্টি পড়লে সড়কটি কয়েকদিনের জন্য চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বলে জানান স্থানীয়রা। এ সময় ব্রীজের দু’পাশে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দিতে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানায় তারা।

    মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাজান হাবীব বলেন,এই সেতু দিয়ে দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। সম্রতি নির্মাণকৃত পাকা সেতুটি পেয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছিল। কিন্তু সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়কের কাজ না হওয়া ব্যবসায়ীদের সেই আশার আলোও নিভে যায়।

    শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন তালুকদার জানান, দীর্ঘদিন আমার ইউনিয়নের মানুষ জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুটিতে যাতায়াত করত। অনেক তদবীর করার পর নতুন সেতুটি নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় এর সুফল ভোগ করতে পারছেনা জনগণ। এ বিষয়ে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তিনি।

    ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ জানান, আমার ইউনিয়নের হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। তাছাড়া এই সেতু দিয়ে মাছ ও লবণবাহী যানবাহনগুলো চলাচল করে। বর্তমানে সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

    এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আশরাফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, কিছুদিন আগে মৌলভীবাজার জলকদর খালের ওপর সাড়ে তিন কোটি ব্যয়ে সেতু নিমার্ণকাজ শেষে করি। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করতে পারিনি। টিকাদারের সাথে আমার কথা হয়েছে, সব কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়ছে। শিগরিই সংযোগ সড়কের কাজ শুরু হবে।