রতন কুমার দে,বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবান বিআরটিএ অফিসে অনিয়মের অভিযোগে ভিডিও ধারণ করার সময় সাংবাদিকে মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বান্দরবান বিআরটিএ এর মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। এসময় মোবাইল ফোন আনলক করে সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও, ছবিও ডিলেট করে দেন তিনি।
মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া সাংবাদিকের নাম নয়ন চক্রবর্তী। সে জাগো নিউজ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি।
বুধবার (১৮মে) সকাল সাড়ে ১১টার সময় বিআরটিএ বান্দরবান সার্কেল অফিসে এঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক নয়ন চক্রবর্তী জানায়, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য একজন ভুক্তভোগীকে ২বছর ধরে হয়রানি করছে। ইতিমধ্যে তার কাছ থেকে বাড়তি ৩হাজার টাকাও নেয়া হয়েছে, তারপরও লাইসেন্স দেয়া হচ্ছেনা। এমন অভিযোগ পেয়ে বিআরটিএ এর অফিসে যাই। এসময় আমার মোবাইলটি হাতে নিলে বিআরটিএ এর কর্মকর্তা আমার মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ডিলেট করে দেয়। সে আরো জানায়, আমার এ ভিডিওগুলো বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংগ্রহ করতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। সে জানায় কর্মকর্তা নিজেকে বাঁচাতে পরে পুলিশকেও খবর দেয়।
বিআরটিএ বান্দরবান সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, অফিসে এসে পরিচয় না দিয়ে কারোর অনুমতি না নিয়েই ভিডিও ধারন করার সময় তার মোবাইল কেড়ে নেয়া হয়। পরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে তাকে থানায় আনা হয়।
এ বিষয়ে বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, বিআরটিএ এর কর্মকর্তা পুলিশকে খবর দিলে নয়ন চক্রবর্তী নামের একজনকে আনা হয়। কিন্তু তার মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ কোন ভিডিও না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।