নুসরাত হত্যা : মামুন ও ইফতেখার নামে আরও দুজন গ্রেফতার

মোরশেদ রনী : নুসরাত হত্যায় মামুন ও ইফতেখার উদ্দিন রানা নামে আরও দুজন গ্রেফতার।

দুজনের মধ্যে ইফতেখারকে রাঙামাটি থেকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই । ইফতেখার নুসরাতকে আগুন লাগানোর সময় পাহারার দায়িত্বে ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে ।

পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোনাগাজীর চরগনেশ এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে রানা। সে ওই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীদের একজন বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য। হত্যার আগে হোস্টেলে যে বৈঠক বসে হত্যার পরিকল্পনার জন্য, সেই বৈঠকে ছিলেন ইফতেখার রানা।

রানা

আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় রানাসহ এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রানা বাদে অন্যরা হলো— অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ্দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, মো. শামীম, কামরুন নাহার মনি, জান্নাতুল আফরোজ মনি, শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল (বুধবার) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকেলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

বিএম/রনী/রাজীব