বঙ্গবন্ধুর সমতুল্য অন্য কেউ হতে পারেন না:তথ্য সচিব

    বিএম ডেস্ক : আব্দুল মালেক ১৮ মার্চ, ২০১৮ সালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি একজন মুজিব আদর্শের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তার মেধা, প্রজ্ঞা, দুরদর্শিতা, রাজনৈতিক সচেতনতা দেখে সবাই মুগ্ধ।

    প্রধানমন্ত্রী যেমন প্রতিটি ফাইলে স্বাক্ষর করার আগে বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেন, ঠিক তেমননি ছোটোখাটো কোনো বিষয়ে ফাইলে স্বাক্ষর করার আগেও সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেই তিনি স্বাক্ষর করেন তথ্য সচিব।

    কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাটকের রিভিউ কমিটিতে মুন্সিগঞ্জের একজন ছাত্রলীগের নেত্রীকে বাদ দেয়ার মতো বিষয়টি নজরে আনেন। পরবর্তীতে তিনি নতুন করে বিষয়টি পর্যালোচনা করে সেই ছাত্রলীগ নেত্রীকে রিভিউ কমিটিতে যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।

    তথ্য সচিব আব্দুল মালেকের দূরদর্শিতা বুঝা যায়, বাংলাদেশ বেতারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে। শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত বাংলাদেশ বেতার অফিসে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য স্থাপনের কাজ শুরু হয়। যথা নিয়মে দরপত্র আহ্বান করে সব কিছু করা হচ্ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বেতারের যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদেরও রাখার প্রস্তাব করা হয়।

    তথ্য সচিব আব্দুল মালেক তখন বলেই বসলেন, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমতুল্য কেউ হতে পারেন না। তাঁর স্থান অনন্য এবং একক। তাই আলাদাভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের অনুমোদন দেন এবং অন্য আরেকটি স্থানে বেতারের শহীদদের ভাস্কর্য স্থাপনের নির্দেশ দেন।

    তথ্য সচিব আব্দুল মালেক গত ১১ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক সাহসী নেতৃত্বের ভূয়ষী প্রসংশা করে তিনি বলেন, আজকের এই বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার একান্ত সচিব-১ হিসাবে কাজ করতে পারাটাও জীবনের সোনালী অধ্যায় হিসাবে আখ্যায়িত করেন আব্দুল মালেক।

    তথ্য সচিব যথেষ্ট বিনয়ী মানুষ। তার কাজে সবাই মুগ্ধ হয়। তার কর্মস্পৃহাও অত্যন্ত প্রশংনীয়।

    উল্লেখ্য, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক তিনি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার সাবুপুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

    বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা তিনি ১৯৮৬ সালে সহকারী কমিশনার পদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি মাঠ ও নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে কর্ম অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন পদে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, জামালপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর, মাগুরা ও খুলনায় দায়িত্ব পালন করেন।তিনি কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বস্ত্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন ব্যুরো, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম-সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব-১ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান পদে যোগদানের পূর্বে তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব পদে কর্মরত ছিলেন।

    আবদুল মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ হতে বিএসএস (অনার্স) সহ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া পরবর্তীতে তিনি এল এল বি ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি। এছাড়া আব্দুল মালেক বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।