এমপিওর কার্যক্রম বিঘ্নিত, ভোগান্তিতে হাজারো শিক্ষক

    সার্ভার জটিলতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের এমপিওর কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা।

    জানা যায়, বৃহস্পতিবারও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের এমপিও প্রক্রিয়াকরণ সার্ভার কাজ করছে না। সার্ভারে নতুন কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    মাউশি সূত্র জানায়, সার্ভারের পাসওয়ার্ড যার কাছে তিনি বিদেশে অবস্থান করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে তিনি দেশে ফিরেছেন এবং দ্রুত সমাধানের কাজ চলছে।

    জানা যায়, ইএমআইএস সেলের প্রধান জামিলুর রহমান বিদেশ সফরে গেছেন। সাথে নিয়ে গেছেন এমপিও প্রক্রিয়াকরণ সার্ভারের পাসওয়ার্ড। সহকর্মী বা বসদের কাউকে হস্তান্তর করে যাননি পাসওয়ার্ড। ফলে চারদিন বন্ধ ছিল সার্ভার। মে মাসের এমপিও প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ ছিল। গতকাল বুধবার দেশে ফিরেছেন ইএমআইএস সেলের প্রধান জামিলুর রহমান।

    ইএমআইএস সেলের আরো ৫ জন শিক্ষক প্রমোদভ্রমণে মালয়েশিয়া রয়েছেন। সেসিপ প্রকল্পের অধীনে ভ্রমণে গেলেও শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছ থেকে অনুমতি নেননি। বুধবার বিকেলে অফিসে যোগ দিয়ে জামিলুর দেখেন আরও নতুন সমস্যা যুক্ত হয়েছে। সব মিলে আজ বৃহস্পতিবারও সার্ভার কাজ করছে না। কবে ঠিক হবে তা কেউ জানে না।

    আজ সকালে জামিলকে তলব করেছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুক। সার্ভার সম্পর্কে মহাপরিচালককে কিছু সত্য কিছু মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন জামিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    জানা যায়, বিদেশী লোনের টাকায় চলা সেসিপের তত্ত্বাবধানে রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেল। সেসিপ ও শিক্ষা অধিদপ্তরের সবাই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষক। আর এমপিও প্রক্রিয়াকরণের সাথে যুক্ত ইএমআইএস সেলের অধিকাংশ সেসিপে অস্থায়ী চাকরি পেয়ে পরে রাজস্ব খাতভুক্ত হয়েছেন।

    শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, নয়টি আঞ্চলিক অফিস থেকে টেলিফোনে সার্ভার জটিলতার কথা জানানো হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন জটিলতা দূর না হলে।

    জানা যায়, সার্ভার জটিলতা নিরসনে আন্তরিক উদ্যোগ না নেয়ায় বার বার এমপিও পিছিয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন বেসরকারি শিক্ষকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বেসরকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম রনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও আলাদাভাবে হয় তাদের সার্ভারের কোনও জটিলতা হয় না।

    কিন্তু স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার এমপিও প্রক্রিয়াকরণে বার বার সার্ভার জটিলতার অজুহাত দেখানো হয়। আসলে শিক্ষা অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে বেসরকারি শিক্ষকদের পদায়ন দেয়া জরুরি। কারণ, তারা এমপিওর সব সমস্যা সম্পর্কে অবগত। সরকারি কলেজ শিক্ষকরা বেসরকারি শিক্ষকদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন। অবহেলা করেন, যা মানা যায় না।

    বিএম/রনী/রাজীব