চার ইরানির বিরুদ্ধে মার্কিন সাংবাদিককে অপহরণের পরিকল্পনার অভিযোগ

    ইরানি

    বাংলাদেশ মেইল::

    যুক্তরাষ্ট্রে এক সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীকে অপহরণের পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে ইরানি চার নাগরিকের বিরুদ্ধে। তাঁরা ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের প্রকাশিত এক অভিযোগপত্রে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।(খবর রয়টার্সের)

    প্রকাশিত অভিযোগপত্রে ওই সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাঁর নাম মাসিহ আলিনেজাদ। তিনি ইরানি বংশোদ্ভূত। আলিনেজাদ সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার পারস্য ভাষা বিভাগে সাংবাদিকতা করেন। ইরানের মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয়ে নানা প্রতিবেদন করেছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে জানতে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য করেননি।

    ইরান অনেক আগে থেকেই বিদেশে বসবাস করা ব্যক্তিদের অপহরণ করছে বলে অভিযোগ আনছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, ইরানের স্বার্থের বিপরীতে যায়, এমন ব্যক্তিদের প্রথমে নানা কৌশলে অন্যত্র নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁদের ইরানে পাঠানো হয়।

    রয়টার্সের সঙ্গে এক কথোপকথনে মাসিহ আলিনেজাদ বলেন, আট মাস আগে অপহরণের পরিকল্পনাকারীদের তোলা কিছু ছবি নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সদস্যরা তাঁর কাছে আসেন। সে সময় তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হতে পারে বলে সতর্ক করেন তাঁরা।

    যুক্তরাষ্ট্রে থেকেও তিনি নিরাপদ নন উল্লেখ করে আলিনেজাদ জানান, ইরানি গোয়েন্দারা এর আগেও তাঁকে তুরস্কে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তাঁকে সে সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার টোপ ফেলা হয়।

    মার্কিন কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাসকারী ওই সাংবাদিকের ওপর নজরদারি করতে অভিযুক্ত চার ইরানি গোয়েন্দাকে ভাড়া করা হয়েছিল।

    গোয়েন্দাদের কাছে তাঁরা বলেন, মাসিহ আলিনেজাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে পালিয়ে এসেছেন। তিনি একজন ঋণখেলাপি। অপহরণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আলিনেজাদের পরিবার এবং বাসার ভিডিও করা হয়। এমনকি তাঁকে অপহরণের পর কীভাবে নিউইয়র্ক থেকে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে নিয়ে যাওয়া হবে, সে পরিকল্পনাও করে রেখেছিলেন তাঁরা।

    নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অড্রি স্ট্রস বলেন, অভিযুক্ত চারজন ওই সাংবাদিককে ইরানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রুহোল্লাহ জাম নামের ফ্রান্সে বসবাসকারী এক সাংবাদিককে দেশটির বাইরে নিয়ে যান ইরানি গোয়েন্দারা। পরে ইরানে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।