জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা
চট্টগ্রামে নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ

জেএমসেন

বাংলাদেশ মেইল  ::

চট্টগ্রামের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টার মুল পরিকল্পনা বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ ও জামাত শিবিরের। পূজামন্ডপে হামলার চেষ্টা , ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ১০ জনের মধ্যে  ৯ জনই যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মী।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন যুব অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ বোস্তামী থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল, নগর ছাত্র অধিকার আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক মো. ইমন, কর্মী ইয়ার মোহাম্মদ, জিয়া উদ্দিন, ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ, ইমরান হোসেন ও মো. মিজান।

জামায়াত ও যুব অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় মিছিল এবং পূজামণ্ডপে হামলা ও ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক  বলেন, সেদিনের মিছিলটি ছিল পরিকল্পিত। মিছিলের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও তদন্ত করে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মী বলে পরিচয় পাওয়া গেছে। আমাদের কাছে পরিচয় তারা এখন অপরাধী। অপরাধ করেছে বলেই তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি।

তিনি  বলেন, এ ঘটনার সাথে এবং পিছনে যারা জড়িত আছে সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

বিজয় বসাক বলেন, নেতৃত্ব প্রদানকারী ও পরিকল্পনাকারীকে আমরা পেয়েছি। তবে আমরা কখনোই বলছি না এরাই মূল পরিকল্পনাকারী। তদন্তে আরো কিছু বের হতে পারে। আমরা কিছু টেলিফোনের কথোপকথন পেয়েছি, সেগুলো পর্যালোচনা করছি।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন  বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তৎপর ছিল এমন ঘৃণ্য ঘটনার নেপথ্যে নায়কদের গ্রেফতার করতে। ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি গ্রেফতারকৃতরা হামলার পরিকল্পনা করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধারণ মুসল্লিদের কাজে লাগিয়েছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এই হামলার ঘটনা। বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রামের নেতাদের পরিকল্পনাতেই চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

তিনি তখন বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনার দিন মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন রয়েছেন।

এদিকে, ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা অজ্ঞাতনামা আরো অন্তত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার এসআই আকাশ মাহমুদ ফরিদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।