টানা হারে টাইগারদের সিরিজও হাতছাড়া

টানা হারে

বাংলাদেশ মেইল ::

টানা হারে সিরিজও হাতছাড়া হলো টাইগারদের । বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে সে জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারলেন না টিম বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে হারের পর আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও মাহমুদউল্লাহরা হেরেছেন ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। ১১ বল হাতে রেখে ম্যাচটা জিতেছে পাকিস্তান।

তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজও জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।

দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুরে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান ফেরেন দলীয় ৫ রানে। আগের ম্যাচে ১ রান করা সাইফ এদিন রানের খাতা খুলার আগেই নিজের খেলা প্রথম বলেই ফেরেন শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নাঈম মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হন ২ রান করে।

সেখান থেকে আবারও দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দলকে বিপদ মুক্তির ইঙ্গিত দেন এই তরুণ। তবে শাদাব খান নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে ২০ রানে থাকা আফিফকে বোকা বানিয়ে ফেরান। আফিফের বিদায়ের পর পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রান তোলা বাংলাদেশ ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে তোলে ৬৪ রান। চতুর্থ উইকেটে শান্ত ও অধিনায়ক রিয়াদ ২৮ রানের জুটি গড়েন। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেওয়া রিয়াদ ১২ রান করে হারিস রউফের বলে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

আগের ম্যাচে ব্যর্থ শান্ত এদিন লড়াই করেন পাকিস্তানি বোলারদের বিপক্ষে, হাঁটছিলেন ফিফটির পথে। তবে মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেননি। লেগ স্পিনার শাদাবের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪০ রান। দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে আবার বড় রানের স্বপ্নে ভাটা পড়ে স্বাগতিক শিবিরের। গত ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা শেখ মেহেদী হাসান সুবিধা করতে পারেননি আজ। ফেরেন ৮ বলে ৩ রান করে।

পরে নুরুল হাসান সোহানের ১১ রানের সঙ্গে শেষদিকে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব অপরাজিত ৭ রানের কল্যানে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দল ১০৮ রানের পুঁজি পায়।

সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শাদাব খান।

১০৯ রানের ছোট লক্ষ্যকে পাকিস্তানের সামনে আরও ছোট বানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ দলের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস।যদিও এদিন ১ রান করে শুরুতেই ফিরে যান পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। আগের ম্যাচে তাসকিন আহমেদের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনা পাকিস্তান দলপতি এদিনও একইভাবে আউট হন।

এরপর বেশ সাবধানে এগোতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান। কিছুটা ধীর-লয়ে লক্ষ্যের দিকে ছুটেছেন সফরকারীরা। তবে ক্যাচ মিসের সাথে বাঁচাতে পারেননি চারও, তাতেই জুটির পঞ্চাশ ছুঁয়েছে রিজওয়ান-ফখর। পরে রিজওয়ান ৩৯ রান করে আউট হলে ৮৫ রানের পার্টনারশিপ।

তার আগেই অবশ্য ব্যক্তিগত ফিফটির স্বাদ পান ফখর। তার অপরাজিত ৫০ বলে ৫৬ রানের কল্যানে ৮ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। ২য় ম্যাচে টানা হারে  সিরিজও হাতছাড়া হলো টাইগারদের ।