‘দ্বিতীয় বাকশালী রাজত্ব’ কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ: মির্জা ফখরুল

দ্বিতীয় বাকশালী

বাংলাদেশ মেইল ::

৫ জানুয়ারি ‘একতরফা’ নির্বাচন এবং ৩০ ডিসেম্বর ‘ষড়যন্ত্রে’র নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে ‘দ্বিতীয় বাকশালী রাজত্ব’ কায়েম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সোমবার (২৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠার দিন ‘২৫ জানুয়ারি’ উপলক্ষে এ বিবৃতি দেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ক্ষমতা চিরকাল কুক্ষিগত করার অসৎ উদ্দেশ্যে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। একটি মাত্র দল ছাড়া অন্য সব দল এবং চারটি সংবাদপত্র ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। সভা-সমাবেশ ও মানুষের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করে মূলত মানবাধিকারকেই সেদিন পদদলিত করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে ভুয়া ভোটের নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে দ্বিতীয় বাকশালী রাজত্ব কায়েম করেছে। ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুপরিকল্পিতভাবে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেবে বলেই আগেভাগে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে আওয়ামী লীগ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অসহনীয় দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে দেশের আপামর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। কথা, চিন্তা, বিবেক, মতপ্রকাশ, সংগঠন ও সমাবেশ করার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে হুকুমবাদের দৌরাত্ম্যে। বহুত্ত্ববাদিতা বিনষ্ট করে মানব সমাজের সামাজিক স্থিতি ও ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছে। ’

‘তাই এখন সর্বত্রই ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দখলবাজদের দখলের জয়জয়কার চলছে। অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা, আশ্রয়, পেশা, ব্যবসা বাণিজ্য— সবকিছু নৈরাজ্যের করাল গ্রাসে নিপতিত,’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি সবসময় জনগণের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত এবং বিদেশে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।’