চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আইনজীবী সমিতির

বাংলাদেশ মেইল ::

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আদালত অবমাননা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা।

বুধবার(২৩ ফেব্রুয়ারী)  বিকেলে চট্টগ্রাম কোর্ট হিলের আইনজীবী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জরুরী সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ আনা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন।

জেলা প্রশাসন কর্তৃক আইনজীবী সমিতির ভবন,আদালত ভবন সংক্রান্তে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ, ঐতিহ্যবাহী পুরাতন আদালত ভবনের সম্মুখে পার্কিং নির্মাণ করে চলাচলের পথ সংকীর্ণ করা সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এই সমিতির আত্মার বন্ধন আছে। ১৯৮৮ সালে ২৪ জানুয়ারি স্বৈরশাসকের পুলিশ বাহিনীর গুলির মুখে বিজ্ঞ আইনজীবীরা নিজেদের মানবঢাল বানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জীবন রক্ষায় এগিয়ে এসেছিল’।

তিনি আরো বলেন, ‘সমিতির ভবনসমূহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয়। ভবনসমূহ নির্মাণে বিভিন্ন দফায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রনালয় থেকে অনুদান দেওয়া হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘ সমিতির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিজ্ঞ সদস্যদের চেম্বারের চাহিদার প্রেক্ষিতে সমিতির লিজ ও ডিক্রিমূলে প্রাপ্ত জায়গায় ভবন নির্মাণ কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে বর্তমান জেলা প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত দপ্তরে পত্র প্রেরণ করে ভবন নির্মাণ কাজের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পায়তারা করছেন। এছাড়াও পানি সংযোগ, গ্যাস সংযোগ, বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেন।’

আইনজীবি সমিতির নেতারা বলেন, ” বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান থাকা অবস্থায়, জেলা প্রশাসক বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব চরিতার্থ করার মানসে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের মাধ্যমে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা বিভাগ,সুরক্ষা বিভাগে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্র প্রেরণ করেন।

আইনজীবী সমিতির ৫টি ভবন নির্মাণে সিডিএ কর্তৃক অনুমোদনের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয় কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত তদন্ত কমিটি বিগত ১৭ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভিন্ন অংশীজনের সাথে আলাপ করেন। উক্ত সভায় আদালত ভবন এলাকার অন্যতম অংশীজন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিকে কোনভাবেই অবগত করা হয়নি এবং উক্ত সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব ডিসির পক্ষ হয়ে আইনজীবী সমিতির বিপক্ষে বক্তব্য প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।