বাঁশখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বেসামাল বক্তব্য
‘ আমার কাছে সরকারি গুন্ডা আছে’ পুঁইছড়ির চেয়ারম্যান প্রার্থী

বাংলাদেশ মেইল ::

‘ আমার কাছে সরকারি গুন্ডা আছে’ বাঁশখালী উপজেলার ১১ নং পুঁইছড়ির ইউনিয়ন পরিষদের নিরবাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকের হোসেন বাচচু নির্বাচনী সভায় এমন বক্তব্য দিয়ে নতুন করে সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন। এরআগে একই উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুল হকের ‘ ইভিএমে রাতের ভোট’নিয়ে ভিডিও সারাদেশের গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়।

জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জাকের হোসেন বাচ্চু জনসভায় প্রকাশ্য বলেছেন তার কাছে সরকারী গুন্ডা আছে। তাকে বলতে শোনা যায় ‘আমি সরকারী দলের লোক, আমার তো সরকারী গুন্ডা আছে। আছে না? লাইসেন্স ধারী!  এরা কি ওদের কাজ করবে?  আমি নির্দেশ দিলে উনারা আমার কাজ করবেন। হুমকি ধামকিকে আপনারা পরোয়া করবেন না। ‘ তার এই বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনায় ব্যস্ত নেটিজেনরা।

তবে এমন বক্তব্য তার কিনা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। বাঁশখালী  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক মনে করেন পরিকল্পিতভাবে জামাত এসব ছড়াচ্ছে। যাতে নির্বাচনে তাদের প্রার্থী সহানুভূতি পায়।

‘বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে কল রিসিভ করেননি চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকের হোসেন বাচ্চু।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের বিভিন্ন উক্তি  নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বহিষ্কারের হুমকি সত্ত্বেও ১২টি ইউপিতেই লড়ছেন ক্ষমতাসীন দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর বিদ্রোহীরা। আগামী ১৫ জুনের এই ভোট ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অনুসারীরা সংঘাতেও জড়িয়েছেন। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো বলে কেউই ক্ষান্ত হচ্ছেন না।

১৫ জুন বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।  ১৪ ইউপির মধ্যে ১২টিতেই বিদ্রোহীদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।এখন নতুন বিপত্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রার্থীদের বিভিন্ন ভিডিও।

বাঁশখালী উপজেলাকে জামাতে ইসলামের  ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নানা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বর্তমান সরকারের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে তাদের প্রার্থী বিজয়ী হবার ইতিহাস রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নৌকার প্রার্থীদের বিব্রত করার মতো ভিডিও কন্টেন্ট ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে -এমন অভিযোগ আওয়ামী লীগের। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের প্রার্থীদের এমন অস্বস্তিকর বক্তব্য দেবার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে চায় আওয়ামী লীগ।