বাংলাদেশ মেইল ::
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ শে মে৷ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি। সোমবার সম্মেলনের স্থান পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ফজলে নাইম।
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিবিজড়িত পটিয়া কলেজ মাঠে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার দুপুরে পটিয়া কলেজ মাঠে সম্মেলনের ভেন্যু পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার ফজলে নাইম বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে নেতা কর্মীদের মাঝে ফিরে এসেছে আগ্রহ উদ্দীপনা। দীর্ঘদিন পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা হওয়ায় নেতা কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দোৎসব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এম এন এ নাছির, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু দাশ হিরু, জেলা যুবলীগ নেতা হাবিবুল হক চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরী, সদস্য মো: ফোরকান, এনামুল হক মজুমদার, পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পৌরসভা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক অজয় শীল, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সাব্বির, সাধারণ সম্পাদ আবদুল হান্নান, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজম রনি ।
সম্মেলনকে ঘিরে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নেতা কর্মীদের মাঝে ফিরে এসেছে আগ্রহ উদ্দীপনা। দীর্ঘদিন পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা হওয়ায় পদ প্রত্যাশীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন লবিং তদবীরে।
এক কমিটি দিয়েই এক দশক পার করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগ। জেলার আওতাধীন উপজেলা-পৌরসভা কমিটির পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয় না জেলা কমিটি। জেলাজুড়ে যারাই কমিটির অনুমোদন দেয় তারাই মেয়াদত্তীর্ণ। দীর্ঘ দিন সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব বা সাবেক ছাত্রনেতারা আছেন অনেকটা পদহীন। নতুন কমিটিতে স্থান পেতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন শীর্ষ পদ একঝাঁক সাবে ছাত্রনেতা ও বর্তমান কমিটির নেতারা। তবে কেউ মুখ খুলতে নারাজ।
জানা যায়, ২০১০ সালে পটিয়ার আ.ম.ম টিপু সুলতানকে সভাপতি ও সাতকানিয়ার পার্থ সারথি চৌধুরীকে সম্পাদক ঘোষণা করে কমিটি করা হয়। এর দু’বছরের মাথায় এসে ঘোষণা করা হয় তিন বছর মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ কমিটি। এরপর নানা মুখি গ্রুপিং থামাতে কয়েক বার নতুন কমিটি গঠনের গুঞ্জন শোনা গেলেও কমিটি করা হয়নি। যার কারণে দলীয় কার্যলয়ের বাইরে তেমন বড় পরিসরে কোনো সমাবেশের আয়োজন করতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলের এই যুব সংগঠনটি। সরকারের উন্নয়নের প্রচার-প্রসারে ভূমিকাহীন ঝিমিয়ে পরা কমিটি বছরের পর বছর গুটিকয়েক নেতার রাজনৈতিক ডাল হওয়ায় নতুন কমিটির বিষয়েও মাথা ব্যাথা নেই আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের।
ছাত্রলীগে নির্দিষ্ট বয়স থাকলেও কত বছর বয়স পর্যন্ত যুবলীগ করতে পারবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। যার কারণে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান কমিটিতে থাকা নতুন পদ প্রত্যশীরা হতাশ। দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বর্তমান জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ম.ম টিপু সুলতান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথীর নতুন কমিটি করার কোনো আগ্রহ নেই। বরং সভাপতি পদে আসার জন্য সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী ভেতরে ভেতরে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের মাঠ গোছানোর পরে কমিটি গঠনের দিকে নজর দিবেন তিনি। এছাড়াও বর্তমান জেলা যুবলীগের সভাপতি টিপু সুলতান স্বপদে বহাল থাকতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।
এদিকে নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদে আসতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ বর্তমান কমিটির কয়েকজন নেতা। তার মধ্যে সভাপতি পদে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এম.এ রহিম, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ, কণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম দিদার, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলাইমান।
সাধারণ সম্পাদক পদে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম শেফু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আবু সাদাত মো. সায়েম, বোয়ালখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সাইফুল ইসলাম কয়েকজন।
সভাপতি প্রার্থী আনোয়ারা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দীন চৌধুরী মুরাদ বলেন, আমার নেতার কাছ থেকেই শিখেছি কিভাবে রাজনীতি করতে হয়। কোন সময়ে কোন পরিস্থিতিতে কিভাবে করতে হয়। আমি সভাপতি পদের জন্য একজন যোগ্য হিসাবে প্রার্থী হয়েছি।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবু সাদাত মো. সায়েম বলেন, আমি তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে এসেছি। কখনো পদ পদবীর লোভ করিনি। দলের একজন কর্মী হিসাবে দলের হাল ধরতে চাই। যদি দায়িত্ব পাই তাহলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগকে দেশের অনান্য জেলার চেয়ে মডেল ও শক্তিশালী হিসাবে গড়ে তুলবো।
