সড়ক মেরামতে এগিয়ে আসেনি জনপ্রতিনিধিরা, যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমেই সড়ক সংস্কার

পেকুয়া প্রতিনিধি,  বাংলাদেশ মেইল ::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় অস্বাভাবিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চলাচল অনুপযোগী সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নিলেন স্থানীয় যুবকরা। নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমেই ওই সড়ক সংস্কার করেছে তাঁরা।

২৪ জুন (শুক্রবার) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার বাসিন্দা এডভোকেট রাশেদ, জাকের হোসেন, বদি আলম, ইসমাঈল, মোতালেব, হারুন, আব্দু রশিদ, বেলাল, আকবর ফকির, মাহবুব আলমসহ ১৫/২০ জন তরুণ-যুবক মিলে রাস্তা মেরামতের কাজ করছেন। ওই যুবকরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ইট, বালি আর কংক্রিট ক্রয় করে এনে তাদের স্বেচ্ছায় চলাচলের উপযোগী করতে সংস্কার করেছে ওই যুবকরা।

জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে সড়কটি বড় বড় গর্ত হয়ে যানবাহন, পরিবহন ও জন যাতায়তে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মগকাটা সংলগ্ন সড়কটির একাধিক অংশে মাটি ধসে গিয়ে রাস্তা ভেঙে যায়। ফলে এমন পরিস্থিতিতে চলাচল বন্ধ হয়ে ওই এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। বিষয়টি স্থানীয়
ইউপি চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মানিক কে জানানোর পরও কোন উদ্যোগ নেন নাই তারা।

স্থানীয়রা বলেন, ইউপি নির্বাচনের সাত মাস পার হলেও চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউ সংস্কারে এগিয়ে আসনি। সড়কটি উপজেলার প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী (পেকুয়া) বাজার, পেকুয়া শহীদ জিয়াউর উপকূলীয় কলেজ, বিএমআই ইনস্টিটিউট, পেকুয়া মডেল সরকারি জি. এম. সি ইনস্টিটিশন , পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পেকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, আশরাফুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, হেদায়তুল উলুম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, জালিয়াখালী হাসেমুল উলুম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন সমূহে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতার কারণে সড়কটির এ বেহাল দশা। উপায় না পেয়ে যুবকরা সড়কটি মেরামতের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এক সময় প্রতিদিন রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল যাতায়াত করত। কিন্তু সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় এসব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি মেরামত হওয়ায় যাতায়াত স্বাভাবিক হবে । তবে সরকারি উদ্যোগে স্থায়ীভাবে মেরামত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

সিএনজি চালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে ওই সড়ক দিয়ে যে কোন গাড়ি চালানো সম্ভব হয়নি। এতে করে তাদের আয় রোজগার কমে গেছে। এখন রাস্তা মেরামতের কারণে ব্যবসায়ে গতি আসবে।

বদি আলম বলেন, ইউপি নির্বাচনের আগে চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ রাস্তাটি করে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। একাধিক বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। অবশেষে তরুন আইনজীবী এড. রাশেদুল কবিরের নির্দেশনা ও অর্থিক সহায়তায় আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে স্থানীয় যুবকরা মেরামত কাজ শুরু করেছি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্থায়ীভাবে মেরামতের জোর দাবি জানাচ্ছি।