হাটহাজারীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট

বাংলাদেশ মেইল ::

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুরহাট, বাজারে চাহিদামত দেশি গরু পাওয়াই কমেছে ভারতীয় গরুর চাহিদা। তবে দাম নিয়ে অসন্তোষ ক্রেতা ও বিক্রেতা।

বিক্রেতারা বলছেন হাটে তেমন ক্রেতা নেই, বিক্রি করার মতো দাম বলছেন না ক্রেতারা, দেখে শুনে চলে যাচ্ছেন। এদিকে ক্রেতারা বলছেন দাম বেশি, তাই তারা কিনতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার (৩০জুন) সকালে পৌরসভা এলাকার প্রাচীনতম গরুর বাজারটি ক্রেতা ও বিক্রেতার ব্যাপক উপস্থিতির মাধ্যমে জমে উঠে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ছোট থেকে মাঝারি আকৃতির ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দামের গরুর চাহিদা বেশি। ভারতের গরু হাটে থাকলেও চাহিদা অনেকটা কম। কিছু কিছু ব্যবসায়ী গরু বিক্রি করে সন্তুষ্ট। বাজারে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে সকালে প্রায় পাঁচ শতাধিক গরু নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা উত্তরবঙ্গের প্রায় সব হাট থেকে দেশি গরু কিনে নিয়ে এসেছি, কিন্তু গত বছরের চেয়ে এবার গরু কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। বিক্রি করার সময় সেই রকম দাম পাচ্ছি না। সব জিনিসপত্রের সাথে সাথে গরুর দামও বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা আরও জানান, তাদের গতবারের চেয়ে বেশি দামে গরু কিনতে হচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় দাম পাচ্ছেন না। বাজারের ইজারদার আবু তৈয়ব বলেন, আমাদের বাজারটি সপ্তাহে দুইদিন বসে, রোববার আর বৃহস্পতিবার। কোরবানি উপলক্ষে ঈদের আগে প্রতিদিন বাজার বসে, প্রতিবছর ন্যায় এবারও আমরা দশদিন আগে থেকে বাজার বসায়। আজ থেকে ঈদ পর্যন্ত এই বাজার চলবে। ক্রেতা ও বিক্রেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভূমিকা রাখবে। বাজার আজ প্রথম দিনে প্রায় পাঁচশত গরু উঠেছে, তারমধ্যে বিকেল পর্যন্ত প্রায় শতাধিক গরু বিক্রি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাসিল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিকভাবে আমরা হাজারে পঞ্চাশ টাকা নিতাম, ঈদ উপলক্ষে গরু প্রতি এক হাজার টাকা হাসিল নেওয়া হচ্চে। তবে হাসির নিয়ে কারো কোন দ্বিমত নেই বলেও জানান তিনি।