মিঠাপানির হালদায় দেখা মিললো জীবিত ইলিশের

হাটহাজারী প্রতিনিধি :::

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীতে এই প্রথমবার দেখা মিলেছে জীবিত ইলিশের। পরে মাছটি নদীতে অবমুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (১অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার নয়াহাট থেকে হালদার মুখ এলাকা পর্যন্ত উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদার নেতৃত্বে এক অভিযান পরিচালনা করার সময় মাছটি উদ্ধার করা হয়।

এই বিষয়ে হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ নামে পরিচিত হালদা নদী কর্ণফুলী নদীর একটি জোয়ার ভাটা উপনদী। কর্ণফুলী নদীতে ইলিশ মাছের বিচরণ রয়েছে। তাই জোয়ারের সময় কর্ণফুলী নদী থেকে হালদা নদীতে ইলিশ মাছ আসা স্বাভাবিক বিষয়। তাছাড়া, ২০১৩ সালের ড. মো. আলী আজাদী স্যার ও ড. মো.আরশাদুল আলম ভাইয়ের গবেষণায় হালদায় ৯৩ প্রজাতির মাছের (ফিনফিশ) সাথে ইলিশ মাছ ও রেকর্ড করা হয়েছিল। তাছাড়া হালদা নদীর কচুখাইন অংশে বিভিন্ন সময়ে নিষিদ্ব জালে ইলিশ মাছ ধরা পড়েছিল। সুতরাং আজ হালদা নদীতে প্রাপ্ত ইলিশ মাছ হালদার নতুন রেকর্ড নয়। ‘

জানাযায়, উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করার সময় জালে আটকে পড়া একটি ছোট ইলিশ উদ্ধার করে, পরে মাছটিকে জীবিত অবস্থায় নদীতে অবমুক্ত করা হয়। এসময় মাছ শিকারিদের অবৈধভাবে পাতানো তিনটি ঘেরা জাল ও পাঁচটি বড়শি জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত জাল প্রায় আড়াই হাজার মিটার।

এবিষয়ে, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, ইলিশ মাছটির ওজন ২৬৫ গ্রামের মতো হবে। গতকাল বিকেলে হালদা নদীতে একটি জালে আটকা পড়ে এই ছোট্ট ইলিশ মাছটি। পরে মাছটি জীবিত উদ্ধার করে ফের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এবং অবৈধভাবে পাতানো অবস্থায় দুইটি কারেন্ট জাল ও একটি চর ঘেরা জাল, মাছ ধরার ৫টি বড়শি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব জালের দৈর্ঘ্য প্রায় আড়াই হাজার মিটার। ‘ অভিযানে আইডিএফ কর্মকর্তা ফয়েজ রাব্বানী ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।