খালেদার কাছে মাফ চাওয়া ছাড়া আ: লীগের বাঁচার উপায় নেই -বুলু

বাঁচার

বাংলাদেশ মেইল::

খালেদা জিয়ার কাছে মাফ চাওয়া ছাড়া আওয়ামী লীগের বাঁচার উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম বিরোধী বিতর্কিত শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ ১১ দফা দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে নাগরিক মঞ্চ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বুলু বলেন, আওয়ামী লীগের বাঁচার একটি মাত্র রাস্তা আছে। বাঘের পিঠ থেকে নামতে হলে রাস্তা খুঁজতে হয়। আর সেই রাস্তা হচ্ছে বিরোধী দলের সঙ্গে আপস করা। আপনারা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে অন্যায় করেছেন, সেজন্য তার কাছে মাফ চেয়ে সমঝোতা করেন। তাহলেই বাঁচার রাস্তা আছে। এ ছাড়া আর কোনো বাঁচার রাস্তা নেই।

আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সমাবেশ করতে এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে সরকারি ট্রেন-বাস রিজার্ভ করে লোক নিয়ে গেছেন। আর আমাদের (বিএনপির) সমাবেশে মানুষকে নদী সাঁতরে আসতে হয়। এমনকি তিনদিন আগে এসে খোলা মাঠে থাকতে হয়।  তিনি আরও বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর বাস ভবন ব্যবহার করে ভোট চেয়েছিলেন। সেজন্য এক রাজনীতিবিদ মামলা করেছিলেন। এর জন্য ইন্দিরা গান্ধীর জেল হয়েছিল এবং তার প্রধানমন্ত্রীত্বও চলে গিয়েছিল। আর আজকে আপনি (শেখ হাসিনা) প্রধানমন্ত্রীর সব অফিস ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। সরকারি সম্পদ ব্যবহার করে ভোট চাওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে অবশ্যই আদালতে ও জেলখানায় যেতে হবে।

বুলু বলেন, আপনারা যারা নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বানাতে চান, যারা আওয়ামী লীগের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড় বড় কথা বলেছেন, তারা কেউ রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ করেননি। রণাঙ্গনের যোদ্ধা যারা, তারা আওয়ামী লীগের বাইরে আছেন। তারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।  তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকের ভুল নাকি ১০ বছর আগের ভুল। তাহলে আমার বলতে হয় ১০ বছর আগে শেখ হাসিনাই তো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর আপনি (শিক্ষামন্ত্রী) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তাহলে এই ভুল পাঠ্যপুস্তকে এলো কীভাবে। তাই এর জন্য কমিশন করে এই শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগসহ এদের বিচার হওয়া উচিত। সরকার পাঠ্যপুস্তকের ভুল নিয়ে মানুষকে রামায়ণ বোঝাচ্ছে। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন নাগরিক মঞ্চের সমন্বয়কারী আহসানউল্লাহ সুমন। এ সময় নাগরিক মঞ্চের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।