কুমিল্লাকে ১৭৬ রানের টার্গেট দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স

বাংলাদেশ মেইল ::

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের শিরোপা নির্ধারিত ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সেকে ১৭৬ রানের টার্গেট দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লার সামনে সুযোগ রেকর্ড তৈরি করে চতুর্থবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলার। অন্যদিকে,  সিলেটের সামনে  প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের প্রত্যাশা।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন সিলেটের ওপেনার নাজমুল শান্ত। ইনিংসের প্রথম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বোলে তিনটি চার মারেন শান্ত। এরপর ওভারের শেষ বলে ওভার থ্রো থেকে আরও ৫ রান পায় সিলেট। প্রথম ওভারে ১৮ রান সংগ্রহ করে সিলেট।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই কুমিল্লাকে সাফল্য এনে দেন স্পিনার তানভির ইসলাম। দারুণ ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয়কে শূন্য রানে পাভেলিয়ানে ফেরত পাঠান  এই বাঁহাতি স্পিনার।  প্রতিপক্ষকে চমকে দিয়ে তিনে নামেন সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তবে দলের পক্ষে কার্যকরী ইনিংস উপহার দিতে পারেন নি তিনি। ১ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হয়ে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। দলের বিপর্যয় ঠেকাতে এদিন মুশফিকুর রহিমকে পাঠানো হয় চারে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিক এবং শান্ত ৭৯ রানের দারুণ জুটি গড়ে সিলেটকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়  ফেরান।

এরজন্য অবশ্য কুমিল্লার ফিল্ডারদেরও কৃতিত্ব দিতে হয়। একের পর এক ফিল্ডিং মিস এবং ক্যাচ মিসে সিলেটের ব্যাটসম্যানদের জীবন এবং রান দিতে থাকেন তারা। ক্যাচ মিসের শুরু মুস্তাফিজের হাত ধরে। সুনীল নারিনের বলে শান্ত’র ক্যাচ মিস করে প্রথম জীবন দেন কুমিল্লার ফিল্ডাররা।

এদিন ফিফটি হাঁকিয়ে বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত ৬৪ রান করে মঈন আলীর বলে ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শান্ত ফাইনালের এই ইনিংসের সুবাদে মোট ৫১৬ রান করেছেন এই সিজনে।

শান্তর বিদায়ের পর দ্রুত কিছু উইকেট হারাতে থাকে সিলেট। দলটির পক্ষে বিদেশি তিন রিক্রুট রায়ান বার্ল ১৩ রান, থিসারা পেরেরা শূন্য এবং জর্জ লিন্ডে ৯ রান করতে পেরেছেন এদিন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান জাকির হাসান নিচের দিকে নেমে করতে পেরেছেন মাত্র ১ রান। এরমধ্যে জর্জ লিন্ডেকে ২বার এবং রায়ান বার্লকে একবার জীবন দিয়েছে কুমিল্লার ফিল্ডাররা।

উইকেট হারালেও একপ্রান্তে একাই খেলে গেছেন সিলেট এবং জাতীয় দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ৪৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছয়ে করেছেন অপরাজিত ৭৪ রান।কুমিল্লার পক্ষে মুস্তাফিজ ২টি ও রাসেল, তানভীর, নারিন এবং মঈন আলী  ১টি করে উইকেট নেন।