বাংলাদেশ মেইল::
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে হিসেবে এদেশের মানুষের ভাগ্য তৈরি করে তাদের উন্নত জীবন দিতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচল চার নম্বর সেক্টরে ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
‘জাতির পিতা এদেশের মানুষের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার যাকে মানুষ অস্ত্র হাতে নিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। সেই স্বাধীন বাংলাদেশে উন্নত করবো এখানে দুর্নীতি কিসের। বাংলাদেশের মানুষকে কতটুকু দিতে পারি সেটাই বিবেচ্য বিষয়। তাদের সেই দুর্নীতির অভিযোগ আমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। সেই পদ্মা সেতু করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি বাংলাদেশ পারে।” এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী না সবথেকে বড় কথা আমি জাতির পিতার কন্যা এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আমার কাজ। সেটাই আমি করে যাচ্ছি।’
মাটির তলদেশের মেট্রোরেল গঠনের কাজ করার সময় কোনো জনদুর্ভোগ হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে নির্মাণকাজ চলবে। পাতাল রেল স্ট্রেশন হবে অত্যাধুনিক। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের সমেয় দেওয়া ইশতেহারগুলো একেএকে পূরণ করছে জানিয়ে দলের সভাপতি বলেন, আমাদের প্রতিশ্রুতি একেএকে সব বাস্তবায়ন করছি। আমরা রূপকল্প ২১ বাস্তবায়ন করেছি। ২০১৮ এর নির্বাচনী ইশতেহারের দেওয়া প্রতিশ্রুতিও আমরা বাস্তবায়ন করছি। আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে।
নারায়ণগঞ্জে ৪৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন সড়ক আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ পূর্বাচলে স্মার্ট সিটি হচ্ছে। মেট্রোরেলে সবচেয়ে বড় দিক এটি কোনো পরিবেশ দুষণ হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এটি পরিবেশবান্ধব এবং শব্দও হবে না।
বিশ্বে খাদ্যভাব দেখা দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যাতে এটা না হয় সেজন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের মাটি আছে মানুষ আছে, আমাদের এক ইঞ্চি জমি অনাবাদী থাকবে না। যাতে করে যুদ্ধের যে ভয়াবহতা তার ধাক্কা যেন বাংলাদেশে না পরে।
এ সময় তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত হবে বলে প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড।