সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের মৃত্যুতে রোববার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ

সাহাবুদ্দীনের

বাংলাদেশ মেইল ::

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে রোববার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

এছাড়া ওই দিন সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলেও সর্বোচ্চ আদালতের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

২০ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি রয়েছে। এ সময় চেম্বার আদালতসহ কোর্টের কয়েকটি অবকাশকালীন বেঞ্চ চালু থাকছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য অনুসারে রোববার অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

শনিবার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাহাবুদ্দীন আহমদ। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এক শোক বার্তায় তিনি পূর্বসূরির আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হওয়া সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৮০ সালে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৯০ সালের জানুয়ারিতে দেশের ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি।

নব্বইয়ের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রে ফেরার প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাহাবুদ্দীন। ১৯৯৫ সালে অবসর নেন।

১৯৯৬ সালে পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ সালে মেয়াদ শেষে সেই দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।

এরপর ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অনেকটা নিভৃত জীবন যাপন করছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। গুলশানের গ্র্যান্ড প্রেসিডেন্ট কনকর্ডে ছয়তলা ভবনটির দোতলায় থাকতেন সাহাবুদ্দিন আহমদ।

২০১৩ সাল থেকে গ্র্যান্ড প্রেসিডেন্ট কনকর্ডে ছোট ছেলে সোহেল আহমদের সঙ্গে বসবাস করছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। সহধর্মিণী আনোয়ারা আহমদ গত ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। সেই থেকে আরও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন ৯২ বছর বয়সী সাহাবুদ্দীন আহমদ।