বাংলাদেশ মেইল::
দিনের শুরুতে শ্রেয়াস আইয়ারকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা দূর করেছিলেন ইবাদত হোসেন। কিন্তু বাংলাদেশকে অষ্টম উইকেটে ভোগান রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও কুলদীপ যাদব। ৯২ রানের ঝকঝকে জুটি গড়ে ভারতের পুঁজি বড় করেন লোয়ার অর্ডারের এই দুই ব্যাটসম্যান। তাদেরকে আটকাতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সব অস্ত্রই ব্যবহার করেছিলেন। তাইজুল, মিরাজ, শান্তকে বোলিংয়ে এনেছিলেন। হাত ঘুরিয়েছিলেন ইবাদত ও খালেদও। কিন্তু ২০০ বলের জুটিতে তাদের পথ রোধ করতে পারেননি কেউ। হাতে থাকা সব সৈন্য ব্যবহার করলেও সাকিব নিজে বোলিংয়ে আসেননি।
তার বোলিং না করার কারণ ব্যখ্যা করেছেন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তিনি বলেছেন, ‘তার কাঁধে কিছুটা ব্যথা আছে। আশা করছি দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করবে। ১০-১২ ওভার বোলিং হয়তো করেছে। আমি নিশ্চিত দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করবে।’
প্রথম দিন সাকিব মাত্র ১২ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নতুন বলে এক ওভার করেন বাঁহাতি স্পিনার। পরবর্তীতে মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৪৮তম ওভারে আবারও আক্রমণে আসেন। দ্বিতীয় স্পেলে করেন টানা চার ওভার। এরপর ৬১তম ওভারে ফিরে টানা ৫ ওভার বোলিং করেন। বোলিংয়ে খুবই হালকা রান আপ নিয়েছিলেন। তবে কোনও জড়তা ছিল কি না তা চোখে পড়েনি। ১২ ওভারে ৪ মেডেনে ২৬ রানে সাকিব ছিলেন উইকেটশূন্য।