নাটোরের লালপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন- মারধরের শিকার প্রেমিকা হাসপাতালে ভর্তি

আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি :-

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশন শুরু করেন এক কলেজছাত্রী। পরে ওই পুলিশ সদস্যের নির্দেশে তার পরিবারের লোকজন ছাত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বর্তমানে ওই তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

উপজেলার পাঁকা-সোলইপাড়া গ্রামের পুলিশ সদস্য রাজিকুল ইসলাম পাপ্পুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি রায়গঞ্জ থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন। ভুক্তভোগী প্রেমিকা নাটোরের নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অনার্স প্রথমবর্ষের ছাত্রী।

ভুক্তভোগী তরুণী জানান, প্রায় ৯ মাস আগে রাজিকুল ইসলাম পাপ্পুর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সম্পর্ক গভীর হলে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। কয়েকদিন আগে তিনি পাপ্পুকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু পাপ্পি বিয়েতে রাজি না হয়ে টালবাহানা শুরু করেন। যোগাযোগ বন্ধ করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে বিষয়টি আপসের চেষ্টা করেন। বাধ্য হয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকে তিনি প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন।

একপর্যায়ে পাপ্পু ফোন করে পরিবারের লোকদের নির্দেশ দিলে তারা তাকে মেরে বাড়ি থেকে বেড় করে দেন। পরবর্তীতে গেটের সামনেই অনশন চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। খবর পেয়ে ভুক্তভোগীর মামি তাকে দেখতে গেলে তাকেও মারধর করেন পাপ্পুর পরিবারের লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তবে রাজিকুল ইসলাম পাপ্পু তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় তিনিও আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংসার চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারিনি। মেয়েটা নিরুপায় হয়েই এমনটা করেছে বলে জানতে পেরেছি।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগির মামী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তদন্ত সাপেক্ষে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বাংলাদেশ মেইল /নাদিরা শিমু/Ns