লাখো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বাবা মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আব্দুল কুদ্দুস

আল আমিন, নাটোর প্রতিনিধি ::::

লাখো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য,উত্তরবঙ্গের বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, বঙ্গবন্ধুর সহচর, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস’র(৮২) দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ জানাজা শেষে বাবা মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে। প্রয়াত সাংসদের জানাজায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।

আজ বাদ যোহর গুরুদাসপুর উপজেলার বিলশা ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে বিলশা কবরস্থানে দাফন করা হয় এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে।

এর আগে বেলা ১১টায় বড়াইগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় ও দুপুর ১২টায় গুরুদাসপুর পাইলট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল বুধবার(৩০ আগস্ট) বাদ জোহর ন্যাম ভবন মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ঢাকা থেকে আব্দুল কুদ্দুসের মরদেহ সন্ধ্যায় নেওয়া হয় নাটোরের গুরুদাসপুরে তার বাড়িতে। এসময় হাজার হাজার নেতাকর্মী তার মরদেহ দেখার জন্য উপস্থিত হন।

জানাজায় অংশগ্রহণ করেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এড. জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ আহাদ আলী সরকার সহ অনেকে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় হঠ্যৎ শ্বাসকষ্টজনিত কারণে সংসদ আব্দুল কুদ্দুসকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়। পরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিউতে)নেয়া হয়। শনিবার রাত থেকে সেখানেই রাখা হয় এ বর্ষীয়ান নেতাতে। সেখানেই বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

আব্দুল কুদ্দুস ১৯৬৮-৭২ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের সভাপতি ছিলেন। অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস রাজশাহী অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি (১৯৭২-১৯৭৪) রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী রাজশাহী জেলায় যে ব্যক্তিকে প্রথম গ্রেফতার করেন তাকে। ১৯৮২-৮৬ পর্যন্ত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন অব্দুল কুদ্দুস। রাজশাহী মহানগর গঠিত হলে ১৯৮৬-১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বপ্রথম ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য হন।

বাংলাদেশ মেইল /নাদিরা শিমু/NS