ভারতসহ বহির্বিশ্বের সাথে আমাদের নতুন উচ্চতার সম্পর্ক বিদ্যমান -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:::

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জি-২০ সম্মেলনে এ উপমহাদেশ থেকে বাংলাদেশ ছাড়া কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি। জি-২০ এর বর্তমান সভাপতি ভারত। আর ভারত এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাড়া পাশর্^বর্তী কাউকে আমন্ত্রণ জানায়নি। এছাড়া বর্তমানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসবেন। এসব সফরে প্রমাণিত হয় ভারতসহ বহির্বিশে^র সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় বিদ্যমান।

তিনি বলেন, কিছুদিন পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে সংলাপের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম মা শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন এবং বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য সংস্কৃতির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা একসময় করোনার টিকা নিয়ে অপপ্রচার করেছিলেন। পরে তারা কেউ রাতের আঁধারে কেউবা প্রকাশ্যে গিয়ে টিকা নিয়েছেন। এখন তারা ডেঙ্গু নিয়ে অপপ্রচারে মেতেছেন। তারা ডেঙ্গুর জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করছেন। কিন্তু ডেঙ্গু মশাতো আওয়ামী লীগ বিএনপি চিনে না, সবাইকে কামড়ায়। এ পর্যন্ত যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই দলমত নির্বিশেষে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু কামড়ায় আর বিএনপি পোড়ায়। দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু মারাত্বক, কিন্তু বিএনপি তারচেয়েও মারাত্বক। তাই এ দুটো থেকে সাবধান থাকতে হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শত অপপ্রচারের মধ্যেও সরকার করোনা মোকাবেলায় সফল হয়েছে। মানুষকে সতর্ক করা, টিকা দেওয়া সব ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বেস রোল মডেল হয়েছি। কাজেই ডেঙ্গু মোকাবেলায়ও আমরা সফল হবো। এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা আর জনসচেতনতা। সরকার জনগণকে সাথে নিয়ে ডেঙ্গু মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের ডাক্তারগণ ইউরোপ আমেরিকা বা ভারতের ডাক্তারদের চেয়ে কোন অংশে কম মেধাবী নন। আমাদের ডাক্তারদের দক্ষতাও ভালো। কিন্তু তারপরেও অনেক রোগী চিকিৎসার জন্য বিদেশ যায়। এর কারন হিসেবে তারা ডাক্তারদের অমনোযোগীতা আর রোগীর কথা ভালভাবে না শুনাকে দায়ী করেছে। এ প্রবণতা পরিহার করতে হবে। রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। সেবার মানসিকতা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। পর্যাপ্ত নার্সিং সুবিধা দিতে হবে। তবেই চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে।

এ হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদানের বিষয়ে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এ হাসপাতাল দেশে অনন্য নজির স্থাপন করেছে, মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়িয়ে এ হাসপাতাল বর্তমানে সরকারি হাসপাতালের সাথে সেবাদান বিষয়ে প্রতিযোগিতা করছে। এ মানসিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি নার্সিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

মন্ত্রী হাসপাতালের যাবতীয় কার্যক্রমে তাঁর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি মো. রেজাউল করিম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. ইসমাইল খাঁন, হাসপাতাল কার্যনির্বাহী পর্ষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মোরশেদ, ডা. অসীম কুমার বড়ুয়া প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

পরে মন্ত্রী বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মধ্যে ট্রফি বিতরণ করেন।

বাংলাদেশ মেইল /নাদিরা শিমু/Ns