সরকার যুক্তি সংগত বিতর্ক কে স্বাগত জানায় -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :::

 

আগে টেলিভিশনে বিতর্ক অনুষ্ঠান ছিল না। কারন বিতর্কে অনেক সময় সরকারের সমালোচনা করা হয়। আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু করি। কারন সরকার সব সময় যুক্তিসংগত বিতর্ককে স্বাগত জানায়। এর মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রথম আন্ত:স্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে বিতর্ক চর্চার বিকল্প নেই।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরো বলেন, এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সরকার ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরু করে যা এখন বাস্তবায়িত। তারপরও আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে নিজেদের তৈরি হওয়ার আহবান জানান।

চূড়ান্ত পর্বের বিতর্ক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রথম আন্ত:স্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতা। চূড়ান্ত পর্বে বিতর্কের বিষয় ছিলো `Developing an export oriented business environment is better driver of our economy than relying on remittance income’. প্রতিযোগিতায় ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজকে হারিয়ে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব হবার অর্জন করে। প্রসঙ্গত, এবারে প্রতিযোগিতায় সারা দেশের ৬৪টি স্কুল বিতর্কে অংশগ্রহণ করে।

সভায় বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেন রঞ্জুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম.এ মালেক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সুকান্ত ভট্টাচার্য্য বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ মেইল /নাদিরা শিমু/Ns